যোগেন দাদার ঘোড়া
বলতে তো আর পারিনে ভাই বললে হবো 'অমুক' দল,
দেখে শুনে হচ্ছে মনে দেশটা ঘোড়ার আস্তাবল।
পড়ছে মনে ছোট্টবেলার "যোগেন" দাদার "মজার দেশ"।
যেথায় ছিলো উল্টো নিয়ম সবকিছুতে উল্টো রেশ।
লোকের মুখে লাগাম টেনে চড়ত পিঠে ঘোড়া,
তাঁর সে অলীক আজব ঘোড়ায় দেশটা আজি ভরা।
লাল নীল আর সবুজ ঘোড়া হরেক রকম ডাকে,
কালো ঘোড়ার খুরের ধুলোয় আকাশ গেছে ঢেকে।
* * *
সংসদের ঐ আসনগুলোয় বসে কালো ঘোড়া,
কালো তাদের গায়ের বসন হাতে চাবুক-দোরা।
বিকট স্বরে হ্রেষা হেঁকে গোঁফ ফুলিয়ে ডাকে,
প্রধান ঘোড়া তেজী বটে লম্বা কেশর রাখে।
কালো ঘোড়া পাগলা হয়ে ছুটছে দিগ্বিদিক।
ওদের পায়ে পিষ্ঠ লোকে মরছে চতুর্দিক।
এই ঘোড়াদের আইনে লাগাম থাকবে লোকের মুখে,
বলবে না কেউ কোনো কথা থাকুক যত দুঃখে।
কালো ঘোড়াই শক্তিশালী সবার নেতা তারা,
লাল ঘোড়ারা অনুগত হয়না লাগাম ছাড়া।
বন্ধ করে দিতে লোকের মুখের ন্যায্য কথা,
ক্যাঙ্গারুদের কোর্ট বসেছে হেথা হোথা সেথা।
কোথাও যদি কোনোভাবে ন্যায়ের তূর্য বাজে,
লাল ঘোড়াদের লেলিয়ে দেবে তাদের সকল কাজে।
* * *
নীল ঘোড়ারা কাবু আজি লেজ গুটিয়ে থাকে,
বললে কিছু কালো ঘোড়া খাঁচায় পুরে রাখে।
নীল ঘোড়াদের সর্দারনী বয়স বেশি বটে,
রাশি রাশি শেকল পায়ে কী জানি কী ঘটে।
নীল ঘোড়ারা তাইতো এখন জাবর কাটে বসে,
কাজ আর নেই কোনো সময় কাটুক রঙ্গে রসে।
* * *
ব্যারাক ভর্তি সবুজ ঘোড়া সবাই ল্যাংড়া-লুলা,
শৌর্য-বীর্য সব হারিয়ে চিবায় এখন মুলা।
মাথায় নিয়ে ওরা আজও পিলখানার ঐ ক্ষত,
নপুংসকের খেতাব নিয়ে কৃষিকাজে রত।
কালো ঘোড়ার দাপট দেখে সারা ব্যারাক ভরে,
কাঁপে সকল সবুজ ঘোড়া কী আর তারা করে?
* * *
এত ঘোড়ার খিস্তি-খেউড় দেখবো কত হায়!
মোদের মুখেও লাগাম রে ভাই ভীষণ অসহায়।
অপেক্ষা আজ তেজী কোনো ঘোড়-সওয়ারের তরে,
লাগাম টেনে ঘোড়ায় যিনি বীরের বেশে চড়ে।
ভেঙে সকল কালো নিয়ম বজ্র বিষাণ সাথে,
গড়বে যিনি সুখের স্বদেশ ন্যায়ের নিশান হাতে।
______________________
২৩ মে ২০১৭ খ্রি.
সাভার, ঢাকা।
#"যতীন দাদা"= কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী
#"যতীন দাদা"= কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী
কোন মন্তব্য নেই
ধন্যবাদ