Marquee text

Welcome to My Site

প্রবন্ধঃ নারীচ্ছদ (নারীর পরিচ্ছদ) পার্ট-||১||

পার্ট-||এক|| ১. নারীরা যে গোড়ালি উচু করা হিলের জুতা পরে বহু কষ্টে চলাফেরা, সেটা কার আবিষ্কার? নারীকে শক্তিহীন হিসেবে উপস্থাপন করার এক হাতিয়ার এটি, পায়ের গোড়ালি উচু করে আঙুলের মাথায় ভর দিয়ে হাটলে শরীরের শক্তি খাটে না, তাই তারা জোরে হাটতে পারে না, লাফাতে পারে না, দৌড়াতে পারে না, এমনকি একটা ছোট্ট নালা পার হতেও আরেকজনের হাত ধরে সাহায্য নিতে হয়। ও নারী, তোমাকে এরূপ অকর্মণ্য করতে যারা এটা আবিষ্কার করল, সেটা তাদের মুখেই ছুড়ে দিয়ে কেড্স পরো, নিজের গায়ের শক্তিতে নিজে চলো, দৌড়াও, লাফ দিয়ে নালা পার হও। কেউ যদি ভালোবেসে হাত ধরে নালা পার হতে সাহায্য করে তো সেটা ভিন্ন কথা, তার মানে এই নয় যে তুমি নিজে পার হতে অক্ষম।
২. নারীকে এত অলংকার পড়তে হবে কেনো? কে দিল এই অলংকারের ঝামেলা? নিশ্চয়ই পুরুষে দিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে নারীরা যতটা সুন্দর, এইসব অলংকার তার অনেকটাই নষ্ট করে ফেলে। প্রাকৃতিকভাবে তো কোনো নারী নাক-কান ফুটো করে জন্মায় না, তাহলে তাদের এসব সুন্দর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জোর করে ফুটো করে দিয়ে বিভৎস বানাতে হবে কেনো? তারপর আবার কেনো সেই বিকৃত জায়গায় কৃত্রিম বস্তু ( অলংকার) লাগিয়ে দিয়ে সুন্দর বানানোর ধৃষ্টতা দেখাতে হবে? এ এক অদ্ভুত ব্যাপার। আমাদের সর্দি হলে আমরা যেভাবে দুই আঙুল দিয়ে টেনে হিচড়ে সর্দির বারোটা বাজাই, নারীরা নিশ্চয়ই তা থেকে বঞ্চিত। তারা সর্দিকেও যত্ন করতে বাধ্য হন। ৩. কোনো ছেলে কোনো কাজে অপারগতা প্রকাশ করলে আমরা তাকে ভর্ৎসনা বা তিরস্কার করে বলি-"হাতে চুড়ি পরে বসে থাকো।" এর মানে দাড়ায় চুড়ি পরা অকর্মণ্যতারই প্রতীক। একজন নার্স কিংবা মহিলা ডাক্তার যদি দুই হাতে রাশিরাশি চুড়ি পরেন তাহলে তার কর্মক্ষেত্রে তা বিঘ্ন ঘটায়, আর ওইসব চুড়ির শব্দ রোগীর নিকট যে কী বিরক্তির কারণ তা বাস্তব অভিজ্ঞতার দাবী রাখে। চুড়ি হাতে দিলে হাতখানা সুন্দরে উথলে উঠবে এই ধারণা কে সৃষ্টি করল? বস্তুত এটি প্রয়োজনের সময়ে কালক্ষেপণ ও আরো অনেক কাজে বিঘ্ন ঘটায়। ৪. আর এক অদ্ভুত জিনিস হল এই লিপিস্টিক। এতে নাকি নারীদের ঠোট সুন্দর দেখায়। বহুদিন এই সৌন্দর্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি, বরং রীতিমত ঘেন্নাই লেগেছে। খাইতে বসে যাতে লিপিস্টিকের ক্ষতি না হয় সেজন্য তারা যে কত অদ্ভুত আকৃতি ধারণ করতে পারেন তা সকলেই দেখেছেন। কতদিন খাওয়ার সময় লিপিস্টিকওয়ালার অদ্ভুদ রকম খাওয়ার ভঙ্গি দেখে হাসি আটকাতে পারিনি তার ইয়ত্তা নেই। এক পরিচিত মেয়ে তার কৃষ্ণ ঠোট আড়াল করার জন্য লিপিস্টিক ব্যবহার করেন, সেটা তার দিক থেকে যুক্তিযুক্ত। এই লিপিস্টিকওয়ালা মুখ দেখলে বুলবুলি পাখি কিংবা হনুমানের বিশেষ স্থানের কথা মনে পড়ে।
(সংক্ষেপিত) ______________________ ১৪ জৈষ্ঠ্য ১৪২৩। জাবি, সাভার,
ঢাকা।

কোন মন্তব্য নেই

ধন্যবাদ

Blogger দ্বারা পরিচালিত.