আত্মজীবনীমূলক রসাত্মক কবিতা-২
ছোট্টবেলার স্মৃতি
আবু ওয়াহেদ
ছোট্টবেলার কত না স্মৃতি
দোল দিয়ে যায় প্রাণে,
স্মরণ করিতে প্রাণ ছুটে যায়
হারিয়ে যাওয়ার দিনে।
কেমনে ভুলিব টৈ-টৈ করে
পাড়া বেড়ানোর দিন,
বিচিত্র সব কাহিনী আর
কোলাহল অমলিন।
এখনো ভুলিনি মার্বেল খেলা
লুডু আর ডাংগুলি,
বাঁশের কঞ্চির বন্দুক আর
তেজবলের সেই গুলি।
এইখানে এক কাহিনী আমার পড়িল ভীষণ মনে, তখন মোরা খুবই ছোট পড়তাম ক্লাস ওয়ানে। সাফি আর আমি একসাথে ঘুরি এখনো আছি পাশে, যত কিছু ছিল অদ্ভুদ কাজ তার মাথাতেই আসে। একদা বাঁশের বন্দুক আর তেজবল গুলি নিয়া, ফুটাতে ফুটাতে যাচ্ছিলাম এক বাড়ির আঙিনা দিয়া।
বাড়ির মালিক আশরাফ চাচা করেছে নতুন বিয়ে, বাড়ির মানুষ সকলে ব্যস্ত নতুন চাচিকে নিয়ে। সহসা আসিয়া নতুন চাচি কী জানি বলিতে গেল, অমনি সাফিউল পটাশ করিয়া তেজবল মেরে দিল। তেজবল যার একবার লাগে সেই বুঝে তার ঝাল, লাগিল চাচির চোখের নিচে সাদা মুখ হল লাল। 'পালা পালা' বলে চিৎকার করে সাফিউল দিল দৌড়, আমিও দিলাম পিছনেই ছুট ভাঙতে চোখের ঘোর। কোথা হতে আর কোথা যাই ভাই পালাব সে কোন দেশে, অগত্যা এক গমের ক্ষেতে দু'জনে রইনু বসে।
হন্যে হইয়া খুঁজিছে সকলে একবার নাকি পেলে, অপরাধীদ্বয় ধরিয়া আনিয়া লটকাবে মগডালে। ক্রলিং করিয়া চলিতে লাগিনু ফিসফিস করে কথা, উপরে তাকিয়ে দেখিলাম এক ডাইনোসারের মাথা। ডাইনোসার নাকি মানুষ তাহা বুঝিয়া উঠার আগে, খপ করিয়া ধরিল মোদের গরগর করে রাগে। জননী এবার ছুটিয়া আসিল মোদের পক্ষ নিয়া, অন্যায়ভাবে ছাড়াইয়া দিল কঠিন বাক্য দিয়া। সে যাত্রায় মোরা বাঁচিয়া গেলাম তবু ছাড়ি নাই সেই তেজবল আর বন্দুক গুলি চলিয়াছে মজাতেই। * * * মার্বেল নিয়া কত মারামারি তারপরও চলে খেলা, কে কাহাকে ফতুর করিবে সে নিয়ে কাটিত বেলা। জুগুস, পানতা, টল, হাই, সাম আরো কত পরিভাষা, স্মরণ করিতে খেলার চিত্র চোখে ভেসে ওঠে খাসা। * * * দুপুর বেলায় গাছের ছায়ায় পাতিয়া 'চক্রচাল', কেউবা আবার 'পাইত' খেলিত ভাবিয়া দাবার চাল। দুপুর গড়ায়, বিকাল গড়ায় গোধুলিও চলে যায়, তবুও তাদের পাইত চক্রচাল সমাধান নাহি পায়। চারপাশে তার ভিড় করে দেখে ডজন খানেক লোকে, অমনি করিয়া দেখিতে আবারো সাধ জানে আজ বুকে। কত না স্মৃতির চর জেগে ওঠে মনের নদীর কোলে, সময় করিয়া বলিব সকলি কোনো এক বৈকালে।। ____________________ ২৪/০৫/২০১৬ আ ফ ম কামালউদ্দিন হল জাবি, সাভার, ঢাকা।
এইখানে এক কাহিনী আমার পড়িল ভীষণ মনে, তখন মোরা খুবই ছোট পড়তাম ক্লাস ওয়ানে। সাফি আর আমি একসাথে ঘুরি এখনো আছি পাশে, যত কিছু ছিল অদ্ভুদ কাজ তার মাথাতেই আসে। একদা বাঁশের বন্দুক আর তেজবল গুলি নিয়া, ফুটাতে ফুটাতে যাচ্ছিলাম এক বাড়ির আঙিনা দিয়া।
বাড়ির মালিক আশরাফ চাচা করেছে নতুন বিয়ে, বাড়ির মানুষ সকলে ব্যস্ত নতুন চাচিকে নিয়ে। সহসা আসিয়া নতুন চাচি কী জানি বলিতে গেল, অমনি সাফিউল পটাশ করিয়া তেজবল মেরে দিল। তেজবল যার একবার লাগে সেই বুঝে তার ঝাল, লাগিল চাচির চোখের নিচে সাদা মুখ হল লাল। 'পালা পালা' বলে চিৎকার করে সাফিউল দিল দৌড়, আমিও দিলাম পিছনেই ছুট ভাঙতে চোখের ঘোর। কোথা হতে আর কোথা যাই ভাই পালাব সে কোন দেশে, অগত্যা এক গমের ক্ষেতে দু'জনে রইনু বসে।
হন্যে হইয়া খুঁজিছে সকলে একবার নাকি পেলে, অপরাধীদ্বয় ধরিয়া আনিয়া লটকাবে মগডালে। ক্রলিং করিয়া চলিতে লাগিনু ফিসফিস করে কথা, উপরে তাকিয়ে দেখিলাম এক ডাইনোসারের মাথা। ডাইনোসার নাকি মানুষ তাহা বুঝিয়া উঠার আগে, খপ করিয়া ধরিল মোদের গরগর করে রাগে। জননী এবার ছুটিয়া আসিল মোদের পক্ষ নিয়া, অন্যায়ভাবে ছাড়াইয়া দিল কঠিন বাক্য দিয়া। সে যাত্রায় মোরা বাঁচিয়া গেলাম তবু ছাড়ি নাই সেই তেজবল আর বন্দুক গুলি চলিয়াছে মজাতেই। * * * মার্বেল নিয়া কত মারামারি তারপরও চলে খেলা, কে কাহাকে ফতুর করিবে সে নিয়ে কাটিত বেলা। জুগুস, পানতা, টল, হাই, সাম আরো কত পরিভাষা, স্মরণ করিতে খেলার চিত্র চোখে ভেসে ওঠে খাসা। * * * দুপুর বেলায় গাছের ছায়ায় পাতিয়া 'চক্রচাল', কেউবা আবার 'পাইত' খেলিত ভাবিয়া দাবার চাল। দুপুর গড়ায়, বিকাল গড়ায় গোধুলিও চলে যায়, তবুও তাদের পাইত চক্রচাল সমাধান নাহি পায়। চারপাশে তার ভিড় করে দেখে ডজন খানেক লোকে, অমনি করিয়া দেখিতে আবারো সাধ জানে আজ বুকে। কত না স্মৃতির চর জেগে ওঠে মনের নদীর কোলে, সময় করিয়া বলিব সকলি কোনো এক বৈকালে।। ____________________ ২৪/০৫/২০১৬ আ ফ ম কামালউদ্দিন হল জাবি, সাভার, ঢাকা।
কোন মন্তব্য নেই
ধন্যবাদ